নিজস্ব প্রতিবেদক : জনগণের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ চলমান আন্দোলনকে গণমুখী করেছে বলে মনে করে বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। তারা মনে করেন, দ্রুত এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
গত মঙ্গলবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় চলমান বিভাগীয় সমাবেশ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আজ বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- সভায় বরিশালের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও বিশেষ করে ভোলা, গৌরনদী, বাউফলে সমাবেশে যোগদানের জন্য আসা নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এসব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এই সভায় অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় পরবর্তী বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোকে সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ছাত্রনেতা অমিত হাসান অনীককে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির এ সভায় পাশাপাশি সিলেট বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কালামকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পরিচায়ক। সভা অবিলম্বে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সভায় নিহত আ ফ ম কামালের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
সভায় বরিশালের জনসমাবেশ থেকে ফেরার পথে ঢাকা থেকে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, এই ধরনের আচরণ অনির্বাচিত সরকারের দমন নীতির অংশ। চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য সরকার গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে। অবিলম্বে সুলতানা আহমেদসহ আটক সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করা হয়।
Comment here