জামিন পেলেন ইরফান সেলিম - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

জামিন পেলেন ইরফান সেলিম

আদালত প্রতিবেদক : মাদকসেবন ও অবৈধ ওয়াকিটকির দুই মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় তাকে প্রতি মঙ্গলবার আদালতে হাজিরার শর্ত বেধে দেওয়া হয়।

ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ইরফান সেলিম মাদক সংক্রান্ত ভ্রাম্যমান আদালতে এক বছরের সাজা দেওয়া মামলায় আজ মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন এবং ওয়াকিটকি রাখার মামলায় গত রোববার জামিন পেয়েছেন।

তবে এ দুই মামলায় জামিন পেলেও ইরফান মুক্তি পাচ্ছেন না। অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় তিনি এখনো জামিন পাননি। যদিও পুলিশ ওই দুই মামলায় ইরফানের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে যাচ্ছেন বলে জানা গছে।

এর আগে, গতকাল সোমবার আদালতে রাজধানীর চকবাজার থানার মাদক মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। ইরফান সেলিমের বদলে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এরও আগে, গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কমিশনার ইরফান সেলিমের বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুটি মামলায় এক বছর ও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।  তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুইটি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার একটি মামলা হয়। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিফ আহমদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় হাজি সেলিমের গাড়ি। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে পেছন পেছন এলে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই-তিনজন নেমে ওয়াসিফ আহমদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে পুলিশ হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ও গাড়ি জব্দ করে।

পরে ২৬ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর সেদিন দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র্যাব হাজি সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করেন।

 

Comment here