ক্রীড়া প্রতিবেদক : টানা ছয় ম্যাচ হারের পর ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেটে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় টাইগাররা। মুশফিক-মুমিনুলের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে নাঈম-তাইজুলের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে বড় জয় পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানের মধ্যে আটকে রাখার পর ব্যাট করতে নেমে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৯৫ রানের লিডে খেলতে নেমে গতকাল সোমবার শেষ বিকেলে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিন দুপুর গড়ানোর আগেই ১৮৯ রানে সবকটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে ষষ্ঠ ওভারে কাসুজাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্লিপে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। তখনো মাঠে ছিলেন অভিজ্ঞ টেইলর। এবার আঘাত হানেন নাঈম হাসান। টেইলরকে তাইজুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। টেইলরের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
দুজন দিনের শুরুতে ফিরে গেলেও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ক্রেইগ আরভিন খেলছিলেন দুর্দান্ত। মুমিনুলের দুর্দান্ত থ্রোতে বেশিদূর যেতে পারেননি, রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৩ রান করেই।
মুমিনুলের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর এবার মুশফিকের বাতাসে ভেসে ধরা ক্যাচে সাজঘরে গেলেন সিকান্দার রাজা। তাইজুলের বলে মিড উইকেটে উড়ে গিয়ে এই ক্যাচ ধরেন মুশফিক। আউট হঅয়ার আগে সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। একে একে চাকাবা, এনডল্বু ও মারুমারা ফ্রেন সাজঘরে। মারুমার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত বোলিং করেন নাঈম হাসান। এই স্পিনার একাই নেন পাঁচ উইকেট। এ ছাড়া তাইজুল নেন চার উইকেট।
টাওগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। ৩১৫ বলে ৪৩৪ মিনিটে ২৮টি চারে তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেন। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে তিনটি ডাবলের মালিক মুশফিক।
১৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। মুমিনুলের আউটের পর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন। ১৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। তাইজুল ১৪ রান করে মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন এনডলবু।
এর আগে গত শনিবার প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৬৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও নাঈম হাসান।
Comment here