মো মাহফুজার রহমান : জয়পুরহাটে করোনা ভাইরাস সংক্রামন ঠেকাতে সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও শহরের বেশিরভাগ কাপড় ও কাঁচা বাজারগুলোতে এ নির্দেশনা না মেনে চলছে ঈদ কেনাকাটা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহরের পূর্ববাজারে করিম গেঞ্জি ষ্টোর নামের এক কাপড়ের দোকানের সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে গায়ে গা ঘেঁষে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। শুধু একটি দোকানেই না, শহরের প্রায় সব দোকানেই ঠিক একই রকমের চিত্র দেখা যায়।
সরকারি নির্দেশনা মতে আগামী (১০ মে) রববারের আগে শপিংমল খোলা যাবে না। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই শহরের পূর্ববাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়।
এদিকে, মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন রয়েছে তৎপর। তারপরেও বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনাকাটা। এসব বাজারে কেবল সেনাবাহিনী তৎপর হলে মানুষের ভিড় কমে। আবার একটু আড়াল হলেই কমে যায় ক্রেতাদের দূরত্ব। তারা কিছুতেই করোনা বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফলে বাজারগুলো করোনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় জানান, মহামারী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ঠেকাতে প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন কেনাবেচা করা হয় সেজন্য প্রতিদিন বাজারগুলোতে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
উলেখ্য, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় প্রথম দুই করোনা রোগী শনাক্তের পরে জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন। গতকাল বুধবার নতুন চার করোনা রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে এই পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে।
Comment here