ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটারে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ রুটে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে মধুপুর সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন বলেন, এ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অংশে বেশ কিছু যানবাহন আটকে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের অন্যতম ব্যস্ত এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলাসহ মোট ২৬টি জেলার ৯০টি রুটের কয়েক হাজার যানবাহন প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। ফলে ঈদের সময় এ মহাসড়কটিতে মহাযানজটের সৃষ্টি হয়।
গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মহাসড়কের দুটি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস উন্মুক্ত করেন। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে মহাসড়কটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইপি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাসড়কে সুষ্ঠুভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানসহ সব ধরনের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো অনায়াসে কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। এই কাজটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি কন্ট্রোল রুম, দুইটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন ও ১৬টি বাঁশকুল দেওয়া হয়েছে- যাতে তিন চাকার কোনো যানবাহন মহাসড়কে উঠতে না পারে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষ ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব। ঈদ যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ থেকে ফিরব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত জায়গায় রাস্তার নির্মাণ কাজ হচ্ছে সে জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য ওই পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে কিছু প্রিকেট পার্টি দিয়েছি।’
Comment here