বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রলীগ নেতার মারামারিতে আহত হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। মারামারিতে তার কপাল ফেটে গেছে। তারা দুজনই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় এক সংবাদিককে গাড়িতে তুলে নিয়ে ভিডিওটি ডিলিট করার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা হলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির ও শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ। মারামারির ঘটনায় আহত শাহারিয়ার কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক ধরে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এইর জের ধরে আজ মধুর ক্যান্টিনে এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা জহির বিদ্যুৎয়ের শার্টের কলার চেপে ধরেন। তখন বিদ্যুৎও জহিরের শার্টের কলার চেপে ধরেন। একপর্যায়ে জহির ইট দিয়ে বিদ্যুৎয়ের মাথায় আঘাত করলে তার কপাল ফেটে যায়।
বিদ্যুৎয়ের অভিযোগ, জহির জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং জহিরের সিন্ডিকেট মিলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভাঙার ষড়যন্ত্র করছিল। এসব বিষয় নিয়েই মূলত জহিরের সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। জহির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয় বলেও অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ।
‘জোর করে ভিডিও ডিলিট করালেন’ ছাত্রলীগের সভাপতি
এদিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে মারামারি হওয়ার সময় দৈনিক ইনকিলাবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য নুর হোসেন ইমন ঘটনার ভিডিও তাদের মুঠোফোনে ধারণ করেন। এটি দেখে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন করে ওই সাংবাদিককে তার গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। পরে ভিডিও ডিলিট করিয়ে দিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
Comment here