কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ায় ও ছবি পোস্ট করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ছয় ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা। এদের মধ্যে তিনজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সময়ে এসব মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন ২০২০-২১ সেশনের আব্দুল বাসিত, শাকাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম। ২০১৬-১৭ সেশনের ফারুক ও তাওহীদ ইসলাম। হল ত্যাগে বাধ্য করা তিন ছাত্র হলেন শাকাওয়াত, লিমন ও মোর্শেদ। শাকাওয়াত ৫১২ নম্বর কক্ষ ও লিমন ও মোর্শেদ ৫০৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাকাওয়াত ও বাসিতকে অনেক মারা হয়েছে। শাকাওয়াতকে রুমে গিয়ে মারা হয়েছে। আর বাসিত হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তখন ফোন চেক করে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। লিমন, শাকাওয়াত ও মোর্শেদকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এ সময় সব গ্রুপের পদপ্রত্যাশীরা উপস্থিত থেকে মারধর করেন। এ ছাড়া হলের অনেকের ফোন চেক করেছে তারা।
মারধরে অংশ নেওয়া পদপ্রত্যাশীরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী নাহিদ, ইমরান, আসিফ, শুভ, নুহাস ও আলিফ। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারীরা হলেন শাহারাত, নাসিফ, শওকত, রিফাত ও লিয়ন। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি শয়নের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন ফজলে রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন লালন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পদপ্রত্যাশীরা আরও অনেককে মারার জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছে, যারা কোটা আন্দোলনে গিয়েছিলেন। অনেকেই হল ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছেন।
Comment here