তারেক-জেবায়দার মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

তারেক-জেবায়দার মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা.জোবায়দা রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এই সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন সুন্দরবন এয়ার ট্রাভেলসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসাবরক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া এবং হিসাবরক্ষক শেখ মজিবুর রহমান। তারা মামলাটিতে জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন। দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর দুদকের পক্ষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন।

এদিকে, আজও আগের দুই দিনের মতো বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শতাধিক আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ আদালত আগামী ৫ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। এ নিয়ে মামলাটির ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

আরও পড়ুন: তারেক-জেবায়দার মামলায় বিচারকের সামনে আইনজীবীদের হাতাহাতি

advertisement…

এর আগে গত ৩০ ও ৩১ মে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রাখায় বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবীদের আদালত কক্ষে এবং সামনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির কোতোয়ালি থানায় একটি জিডিও করেছেন। সেখানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে এবং বিএনপিপন্থি ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞানতামা আইনজীবীর কথা উল্লেখ রয়েছে।

মামলায় গত ২১ মে একই আদালত মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে তিন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

আরও পড়ুন:  বিচার শুরু, আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না তারেক-জোবায়দা

চিকিৎসক জোবাইদা বর্তমানে স্বামী তারেকের সঙ্গে ১৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। জোবায়দার বিরুদ্ধে দদুক মামলাটি করেছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০০৮ সালে এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এখন সেই বাধা কাটল।

নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবায়দা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে জোবায়দাকে বরখাস্ত করে সরকার।

Comment here