তেজগাঁওয়ের ওই হাসপাতালের আরও ৩ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

তেজগাঁওয়ের ওই হাসপাতালের আরও ৩ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালের আরও তিন চিকিৎসক ও দুজন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্ব না নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন করোনায় আক্রান্ত হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স আক্রান্তের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সার্জারি ও গাইনি বিভাগের ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোসহ বিভাগ দুটি বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।

হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওই নারী চিকিৎসক সেখানকার গাইনি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের গাইনি বিভাগে একজন রোগীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখতে পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলাম, রোগীও চাচ্ছিল এই হাসপাতাল থেকে চলে যেতে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দেয়নি। এই অবস্থায় আমরা কাজ করেছি। গত ৮ এপ্রিল সর্বশেষ ডিউটি করার পর ১০ তারিখে তার হাসপাতালে আসার কথা থাকলেও এর মধ্যে তিনি জ্বর, কাশিতে ভোগা শুরু করেন।’

‘এর মধ্যে আমাদের বিভাগের ১২ জন ডাক্তার, পাঁচজন নার্সসহ অনেকে নিজ উদ্যোগে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছি, সেখানেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। ১২ তারিখে আমার পরীক্ষার প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে,’ বলেন ওই নারী চিকিৎসক।

তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে ইমপালস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কোনো খবর নেয়নি। এমনকি প্রশাসন থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়েছে, আমার স্বামীর কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে আমি আক্রান্ত হওয়ার পর স্বামীরও টেস্ট করানো হয়েছে, উনি আক্রান্ত নন।’

‘আমার কোনো দায়িত্ব তারা নিতে রাজি নয় বলেই আমার সঙ্গে তারা এই ধরনের আচরণ করেছে’ অভিযোগ ওই নারী চিকিৎসকের।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ইমপালস হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. খাদিজা জুমা বলেন, ‘আমাদের ইমপালস হাসপাতালে একজনও করোনাভাইরাসের রোগী আসেনি। তাহলে কীভাবে তিনি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।’

তবে রাতে ডা. খাদিজা জুমাই তাদের আরও তিন চিকিৎসক ও দুই নার্স করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়া এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

খাদিজা জুমা বলেন, ‘আমাদের চারজন ডাক্তার ও নার্স আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা গাইনি ও সার্জারি বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছি। আর এই দুই বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’

Comment here