নিজস্ব প্রতিবেদক ; জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনজীবনে চরম বিপর্যয় ও অশুভ শক্তির হাতকে শক্তিশালী করতে পারে বলে মনে করছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তারা। আজ রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা বিপর্যয়ে দেশে প্রাণহানি, উৎপাদন বন্ধ, বাণিজ্য, শিল্প, হতাশা, সামাজিক অবক্ষয়, বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যসংকটসহ নানা জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দেশের মতো আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মানুষ নানা সংকটে পড়েছে। এই অবস্থায় পেট্রোল-ডিজেল, অকটেন ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে, মানুষ আরও চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। সমাজে অশুভ শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে।
এতে আরও বলা হয়, মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করেন তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্যসচিব নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এস এম আকাশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জোবায়দা নাসরিন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এম এ সবুর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সমাজ গবেষক সেলু বাসিত, উঠানের সভাপতি অলক দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম, আনন্দনের প্রধান সংগঠক এ কে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক জোট সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ ‘আদিবাসী’ ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবদুল মোতালেব।
Comment here