দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এক নারীর দুই স্বামী নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সুষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে তার।
বিরমপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) আকমল হোসেন জানান, বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিবপুর গ্রামের রুহুল আমিন খোকনের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের বিয়ে হয় ২০১০ সালে। এ সংসারে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই নারী ঘর থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।
গত জানুয়ারিতে এ ঘটনায় রুহুল তার মামাতো ভাই রিয়াছত আজিম জুন্নুন জাহিদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি বিরামপুর থানায় রেকর্ড হওয়ার পর থেকে অনুসন্ধান করে বিরমপুর থানা পুলিশ।
আকমল আরও জানান, অনুসন্ধানে ওই নারী ঢাকার মিরপুর এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। গত মঙ্গলবার মিরপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে ৭ মাসের একটি মেয়ে শিশুসহ উদ্ধার করে বিরামপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে থানায় নিজের স্ত্রীকে নিতে আসেন প্রথম স্বামী রুহুল আমিন। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী কখনো তাকে তালাক দেননি। নিজেই নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এ সময় মামলার প্রধান আসামি জাহিদও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন। তিনি জানান, তার সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়েছে। তাদের একটি সন্তান আছে।
এসআই আকমল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মল্লিবপুর গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জাহিদকে গতকাল বিকেলে দিনাজপুরের আদালতে পাঠিয়েছে।
Comment here