নিজস্ব প্রতিবেদক :দেশীয় প্রযুক্তিতে চালু হলো অকেজো হয়ে থাকা ডেমু ট্রেন। চীন থেকে আনা ২০টি ডেমু ট্রেন এতদিন অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। দেশীয় প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টায় এর মধ্যে পাঁচটি ট্রেন সচল করা হয়েছে। যার একটি আজ রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করেছে।
আজ দুপুরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ডেমু ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। উদ্বোধনের পর ট্রেনটি রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রংপুর থেকে এটি বিকেলের দিকে পার্বতীপুরে ফিরে আসে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেমু ট্রেন শহর ও শহরতলির গন্তব্যে চলার কথা। কিন্তু আমরা তা দূরবর্তী গন্তব্যে চালিয়েছি। চীন আমাদের ট্রেন দিয়েছিল কিন্তু পাসওয়ার্ড (সফটওয়্যার) নিজেদের কাছে রেখেছিল।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটি ডেমু ট্রেন সচল আছে। আমাদের প্রকৌশলীরা মডিউল পরিবর্তন করে পার্বতীপুরের রেলওয়ে প্রকৌশলী ও বাইরের প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় আরও একটি ট্রেন সচল করেছেন।’
ডেমু ট্রেন চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক অসীম কুমার তালুকদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী মো. রফিকুল ইসলাম, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বারিউল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, লালমনিরহাটের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম, পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক প্রমুখ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ২০ সেট ডেমু ট্রেন আমদানি করে বাংলাদেশ। এতে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। কাছাকাছি দূরত্বে বেশি পরিমাণে যাত্রী ওই ট্রেনে পরিবহন করার উদ্দেশ্যে এগুলো আমদানি করা হয়েছি। কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ওই ট্রেনগুলো বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত হয়। যে প্রযুক্তি বাংলাদেশকে কখনো দেয়নি চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। চীনা প্রকৌশলীরা প্রযুক্তি হস্তান্তর না করায় একটির পর একটি ডেমু ট্রেন বিকল হওয়া শুরু করে।
এ জন্য দেশের প্রকৌশলীদের চেষ্টায় পাঁচটি ডেমু ট্রেন সচল করা হচ্ছে। বাকি ১৫টি ডেমু ট্রেনও মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Comment here