দেশের আকাশপথে যুক্ত হচ্ছে আরও ১২ দেশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

দেশের আকাশপথে যুক্ত হচ্ছে আরও ১২ দেশ

তাওহীদুল ইসলাম : বাংলাদেশের আকাশপথের বিস্তৃতি বাড়ছে। আরও ১২টি দেশের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে ফ্লাইট অপারেশনের সক্ষমতা বাড়বে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নতুন গন্তব্যে মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। এতে পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আফ্রিকার ছয়টি দেশ, ইউরোপের দুটি এবং এশিয়ার চারটি দেশ চুক্তির আওতায় আসছে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাটভিয়া, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা ও সিশেলস। ইউরোপের দেশ দুটি হলো চেক রিপাবলিক ও সুইজারল্যান্ড। এর বাইরে এশিয়ার লেবানন, তুর্কেমিনিস্তান, আলজেরিয়া ও ব্রুনাইয়ের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে মন্ত্রিসভা অনুমোদনও দিয়েছে। বাকিগুলোর অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী আমাদের সময়কে বলেন, আমরা নতুন নতুন দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছি। এ ছাড়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট আছে- এমন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সার্ভিসের জন্য চেষ্টা করছে। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও বাড়বে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ আকাশপথে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার, পর্যটনসহ নানা দিক বিবেচনা করেই এসব দেশের আগ্রহ বেড়েছে।

বর্তমানে বিমান চলাচলে ৫৩টি দেশের সঙ্গে চুক্তি বা অনুস্বাক্ষর রয়েছে বাংলাদেশের। চুক্তির আগে উভয় দেশের সম্মতির পর অনুস্বাক্ষর করা হতো। এরপর প্রয়োজন অনুসারে চুক্তির রেওয়াজ ছিল। এখন সরাসরি চুক্তি হয়। তার আগে উভয় দেশ এ বিষয়ে সম্মত হয়। ৫৩টি দেশের মধ্যে ২৬টি দেশের সঙ্গে চুক্তি আর ২৭টি দেশের সঙ্গে অনুস্বাক্ষর রয়েছে। বর্তমানে ১৫টি দেশের ২৩টি গন্তব্যে বিমান চলাচল করছে। আার ১৮টি দেশের ২৬টি এয়ারলাইনস যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল চুক্তি বা অনুস্বাক্ষর রয়েছে- আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, কানাডা, চীন, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, আইসল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইতালি, জাপান, জর্ডান, কেনিয়া, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, মিয়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সেøাভাকিয়া, শ্রীলংকা, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন ও ব্রুনাইয়ের সঙ্গে। এর মধ্যে অনেক দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু নেই। ইতোমধ্যে কিছু দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যেমন- বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিস চালু করতে চায় ফ্লাই বাগদাদ। এ ছাড়া মিশরের ইজিপ্ট এয়ারও ফ্লাইট চালুর পথে এগিয়েছে। দেশ দুটির সঙ্গে ফ্লাইট চালু করতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্সের ‘এয়ার ফ্রান্স’ ঢাকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেবিচক এর সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করছে।

বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে যেসব এয়ারলাইনসের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে- বাহরাইনের ‘গালফ এয়ার’, ভুটানের ‘দ্রুক এয়ার’, চীনের ‘চায়না ইস্টার্ন’, ‘চায়না সাউদার্ন’, হংকংয়ের ‘ক্যাথি প্যাসিফিক’, সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া এয়ারলাইনস’, কুয়েতের ‘কুয়েত এয়ারওয়েজ’, ‘জাজিরা’, মালয়েশিয়ার ‘এয়ার এশিয়া’, ‘মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস’, ‘মালিন্দো’, মালদ্বীপের ‘মালদিভিয়ান’, নেপালের ‘হিমালয়ান এয়ারলাইনস’, ওমানের ‘ওমান এয়ার’ ও ‘সালাম এয়ার’, কাতারের ‘কাতার এয়ারওয়েজ’, সিঙ্গাপুরের ‘সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস’, শ্রীলংকার ‘শ্রীলংকান এয়ারলাইনস’, থাইল্যান্ডের ‘থাই এয়ারওয়েজ’, তুরস্কের ‘তার্কিশ এয়ারলাইনস’, ভারতের ‘স্পাইস জেট’, ‘ইনডিগো’, ‘ভিসতারা’ ও ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘এয়ার এরাবিয়া’, ‘ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ’, ‘ফ্লাই দুবাই’ ও ‘এয়ার এরাবিয়া’।

 

Comment here