সারাদেশ

দেশের সর্ববৃহৎ বিসর্জন কক্সবাজার সৈকতে

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্বেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক আর ভক্ত পুজারি দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেল দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। রং ছিটানো আতশবাজি ফুঁটিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ৭ নাম্বার বিপদ সংকেতের মধ্যে বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে নামে পর্যটক আর পুজারিদের ঢল।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো ভারি বৃষ্টিপাত হয় কক্সবাজারে। সন্ধ্যায় নানা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে দুর্গোৎসবের।

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে চলে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য কানিছ ফাতেমা আহমেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো জিল্লুর রহমান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান প্রমুখ।

 

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক নেতাসহ নানা সম্প্রদায়ের নেতারা। বিসর্জন মঞ্চ থেকে মন্ত্র উচ্চারণ শেষে সমুদ্র সৈকতে শুরু হয় বিসর্জন। এরপর একে একে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় সাগর সৈকতে।

পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর জানিয়েছেন, জেলায় ৩১৫ টি পূজা মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫১ টি প্রতিমা পূজা আর ১৬৪ টি ঘট পূজা। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ছোট বড়ো ৬টি প্রতিমা রয়েছে।

Comment here

Facebook Share