দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য একটি দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই’ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে আজ সোমবার ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্যে সরকার ঢাকা মহানগরীর জন্য ভবিষ্যৎ মহাপরিকল্পনা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ২০২২-৩৫ প্রণয়ন করেছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনার পাশাপাশি উপজেলাভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬ এবং ১৮(ক) এর আলোকে নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। জাতির পিতার বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ সরকারের এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি’। কোভিড-১৯ মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতময় বিশ্ব – এ ত্রয়ী চ্যালেঞ্জের বিরূপ প্রভাব এবং দ্রুত নগরায়ণের ফলে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে বিরাজমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কথা বলতেন। তার (বঙ্গবন্ধু) সেই স্বপ্নের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের গ্রাম ও শহরগুলো উন্নয়নের ধারায় পরিবর্তিত হচ্ছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা দক্ষিণ এশিয়াসহ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংঘাতময় বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি, যে কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী নিম্নআয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকার দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করছে, যা গোটা বিশ্বে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ধারণার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে।’

রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

Comment here