নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ আল আমিন : ঈদযাত্রা মানেই ভোগান্তি। ঈদের ফিরতি যাত্রাতেও এই ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।এমনই এক ভোগান্তির কথা জানা যায় আজ সকাল সাড়ে ৬ টায়। রাজশাহী থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিল আর পি এলিগেন্স এর একটি বাসের, হঠাৎ সাইন বোর্ড এ আসার পর এর সুপারভাইজার এবং ড্রাইভার বলে বসে গাড়ি আর যাবে না। গাড়ির ভেতরে তখনো ছিলেন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।ব্যবস্থায় কারণ জানতে চাওয়া হলে তারা সরাসরি কিছু বলছিলেন না।
অনেক ধস্তাধস্তি এরপর ড্রাইভার জানান যে আসলে তাদের গাড়ির ওই রুটে যাবার কোন রোড পারমিট নেই। সরাসরি একথা তো বলেননি বলছেন যে রোড পারমিটের কাগজ নাকি হারিয়ে গিয়েছে।ফজরের আগে আগে আসতে পারলে নাকি তাদের চাষাড়া পর্যন্ত গিয়ে নামিয়ে দিয়ে আসতে পারতো । গাড়িতে উপস্থিত ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বাংলার আলোকে জানান, এরা শুধুই এই সমস্যাটা করছ না যে বাসটা গতকালের আগের দিন আসার কথা ছিল।সেই টিকিট ক্যানসেল করে আমাদেরকে পরদিন এর টিকিটের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। তার উপর আজসে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে গেল না।
এ পরিবহন সেক্টর টাই খালি চিটার আর বাটপার। মহিলাদের মধ্যে একজন জানান যে এই বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমি আপনার বয়স পর্যন্ত এত সকাল-সকাল কিভাবে যাব বলেন তো দেখি! ঈদের সময় এ ধরনের ঝামেলা মোটেই কাম্য নয়। ঈদযাত্রায় নানা ধরনের ঝামেলা তো থাকে।সিডিউল বিপর্যয় টিকিট ক্যানসেল থেকে শুরু করে চার ঘন্টার যাত্রা ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত ওঠা।
এরমধ্যে আবার যাত্রা পথের মাঝখানে যদি যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয় তাহলে গণপরিবহনে যাত্রীদের আস্থা অবশ্য উঠে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি আশা করছে সাধারন জনগন।
Comment here