শিগগির নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান। তথ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড এরই মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে কমিটি সকল অংশীজনদের নিয়ে সভা করেছেন। অচিরেই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ঘোষণা করা হবে।
সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকাসহ সারা দেশে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা রয়েছে ৩ হাজার ১২৮টি। এ সকল পত্রিকার মধ্যে যারা নীতিমালা অনুসরণ করে পত্রিকা প্রকাশ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল করা হতে পারে।
সংসদ সদস্য আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট অনলাইন সব ক্ষেত্রেই সর্বক্ষণ আমরা নজরদারি ও তদারকি করছি। কোথাও বিভ্রান্তকর বিব্রতকর অসত্য বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করে থাকি। বিভ্রান্তিকর সংবাদটি প্রচারের বা প্রকাশ হওয়া মাত্র আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, আগামীতেও করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধে ৫৭ ধারা ইতিমধ্যে প্রবির্তিত হয়েছে। অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেসব ক্ষেত্রে বিব্রতকার অসত্য ভুল তথ্য পরিবেশ করবে সেক্ষেত্রে আমরা প্রচলতি আইনের ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা করে থাকি। আমাদের সংবাদটি প্রচার বা প্রকাশ হওয়া মাত্র আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং আগামীতেও করব।
জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ৫৭ ধারার কথা বলা হয়েছে। আসলে এরমধ্যে দিয়ে তথ্য প্রকাশ প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষ বাঁধা আছে বলে মনে করি না।
Comment here