নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়া ; কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বহুতল ভবনের লিফটে আটকা পড়েন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), আইনজীবীসহ ১২ জন। আদালতের টেকনিশিয়ানরা চেষ্টা করেও লিফট ঠিক করতে ব্যর্থ হন। এরপর কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল তাদের উদ্ধার করে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন লিফটে আটকে পড়া কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি আব্দুল হালিম।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। লিফটে আটকা পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন আসামি, দুজন পুলিশ সদস্য, কয়েকজন আইনজীবীসহ মোট ১২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম বলেন, ‘চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের লিফট চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে আইনজীবীসহ ১২ জন আটকা পড়েন। আজ বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আমাদের কল দিয়ে জানানো হয়। আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইনজীবী বলেন, ‘চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বহুতল ভবনের লিফটে বহুদিন ধরেই সমস্যা দেখা দেয়। এর আগে কয়েকবার লিফট নষ্ট হয়েছিল। প্রতিবার যেনতেনভাবে মেরামত করা হয়। আজকে আবারও লিফটে সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই লিফটের মধ্যে আটকা পড়েছিল। আজ একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। এ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হোক এবং লিফটের বহুদিনের সমস্যা সমাধান করা হোক। নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’
লিফটম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লিফট আটকা ছিল। লিফট আটকে গেলে তা সমাধানের অনেক চেষ্টা করলেও আমরা সচল করতে পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে লিফট ভেঙে আটকা পড়া সবাইকে উদ্ধার করেন।’
কুষ্টিয়া আদালতের পিপি আব্দুল হালিম বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে লিফটে করে উপরে উঠছিলাম। ১৩ জন ধারণক্ষমতার লিফটে ১২ জন ওঠেন। এ সময় প্রথম তলা ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় লিফট বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪২ মিনিট আমরা লিফটের মধ্যে আটকে ছিলাম। এ সময় আদালতের টেকনিশিয়ানরা চেষ্টা করে লিফট সচল করতে ব্যর্থ হয়। পরে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অফিসে কল দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের দল এসে লিফট ভেঙে আমাদের উদ্ধার করে। লিফটে আটকা পড়ার পর আমরা খুবই আতঙ্কে ছিলাম।’
Comment here