নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চগড়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে পারলেও মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছেন দুই পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তাদের স্বামী-ভাইসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার ভাইভা দিতে এলে লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ার কারণে আটক হন তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। তবে পাঁচজনের মধ্যে দুলাল নামে একজন পলাতক রয়েছেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন- আটোয়ারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া এলাকার ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে মোছা. ইয়াসমিন। একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২৮)। অপর দুই আসামি হলেন- ইয়াসমিনের স্বামী এ এইচ আর মাসুদ রয়েল (২৮) ও তার ভাই সাইদুর রহমান (২৪)।
জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের ভাইভায় ডাকা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ইয়াসমিন ও মৌসুমী উত্তীর্ণ হলে তারাও অংশ নেন ভাইভায়। কিন্তু ভাইভা দিতে এসে নিয়োগ বোর্ড তাদের হাতের লেখায় কোনো মিল না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তারা অন্যের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
ইয়াসমিন জানান, তার ভাই সাইদুর রহমান ও স্বামী এ এইচ আর রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করায়। আর চাকরির জন্য জেলার ধাক্কামারা এলাকার দুলালের সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় চুক্তি হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘ওই দুই পরীক্ষার্থী ভাইভা দিতে আসলে বোর্ড তাদের হাতে লিখতে বললে তারা লেখেন। কিন্তু পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তাদের লেখার অমিল পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তারা।’
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘মামলার পর আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
Comment here