নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে কুড়িগ্রামে সময়ের আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে কুড়িগ্রামে সময়ের আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি

আতাউর রহমানঃ সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে উলিপুর উপজেলার নন্দুনেফড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।
এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে, আমাদের আওতায় থাকা দাখিল মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্লাশ চলবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র দুপুরে খাওয়ার জন্য আধা ঘণ্টা বা একটি ক্লাস রুটিনের একটি ঘণ্টার সমমান সময় বিরতী দেওয়ার সরকারী বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যালয়গুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগড়াকুড়া দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় বেলা ১টার সময়ে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসাটির অফিস ক্ষ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী শুন্য রুমে ঝুলছে তালা। এরকম পরিস্থিতি আশপাশের আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে, কৃষ্ণমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, হোকডাঙ্গা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নন্দুনেফড়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, গুনাইগাছ রহমানিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানায় সকাল ১০ টায় ছেলে/মেয়েরা বিদ্যালয় গিয়ে আবার ১টা না বাজতে চলে আসে। আসলে এই তিন ঘন্টায় এতগুলো বইয়ের কি ক্লাশ হয় তা ভাবতে আমরা অবাক হই। শিক্ষকদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেও তারাও সেভাবে আমলে নেয় না। বাধ্য হয়েই ছেলে মেয়েরো কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাদের পড়াশুনা কোচিং নির্ভর বলে জানান অভিভাবকরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ক্লাশে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না বলে মন্তব্য তাদের।
নাগড়াকুড়া দারুল উলুম দালিল মাদ্রাসা সুপার মোকসেদ আলীকে মাদ্রাসায় না পেয়ে তার মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ থাকায় তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রব স্যারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারের বেধে দেওয়া নিয়মেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। নিজস্ব কোন নিয়ম চলবে না। কিন্তু ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, উক্ত নন্দুনেফড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই নাগড়াকুড়া দাঃ উঃ দাখিল মাদ্রাসার নিজস্ব ভবনে ও গুনাইগাছ সমাজ কল্যাণ সংস্থায় পৃথক দুটি কোচিং সেন্টার পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয় অনেকেই। আর একটিই কারণ, সেটি হচ্ছে বিদ্যালয়ে ক্লাশ না হওয়া।

Comment here