ঢাকাসমগ্র বাংলা

নেশার টাকা’ না পেয়ে শ্রীপুরে মায়ের চোখ ‘অন্ধ’ করে দিল ছেলে

মোঃ হুমায়ূন কবির শ্রীপুর, গাজীপুর : ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে ছিলাম। কোলে পস্রাব-পায়খানা করলেও ফেলে দেইনি কখনো। মধ্য রাতে খাবারের জন্য কাঁদলে ঘুম হারাম করে তাকে খাইয়ে দিয়েছি। সেই ছেলে আজ আমাকে কথায় কথায় মারধর করে। তার বারির আঘাতে আমার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে এভাবেই বলছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের ইনু মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৬০)। ২১ জুলাই রবিবার ছেলের মারধরের বিচার চেয়ে রেজিয়া খাতুন শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তার বড় ছেলে আবু কালাম (৩৫)একজন নেশাখোর । সে প্রায় সময় নেশা সেবন করে থাকে। নেশার টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। গত কয়েকদিন পূর্বে সে নেশা সেবন করে বাড়ীতে এসে আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে উঠানে থাকা কাঠের তৈরি পিড়ি নিয়া আমাকে স্বজোরে আঘাত করে। এতে আমার ডান চোখে লেগে ওই চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে আমি আঘাত প্রাপ্ত চোখে কিছু দেখতে পাই না। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারিনা। আজ সকালে আবার সে নেশার টাকা দাবি করলে আমি দিবোনা বলে জানাই।

এত সে উত্তেজিত হয়ে লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে বারি দেয়। এসময় চিৎকারে শুনে আশপাশ হতে লোকজন এসে আমাকে রক্ষা করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, ওই ছেলে একজন নেশাখোর। সে নেশার টাকার জন্য তার মাকে কয়েকবারই মারধর করছে। কয়েকদিন আগে তার মাকে মারধরের পর আমার কাছে আসলে আমি তাদের মধ্যে মিলমিশ করে দিয়েছি। এরপর আবার মারামারি করলে থানায় যেতে বলছিলাম।

শ্রীপুর থানার কর্তব্যরত অফিসার এএসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ‘মাকে মারধর করার এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।’

Comment here

Facebook Share