নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এবং ব্যর্থতার দায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন সিইসি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তর সিইসি এ কথা বলেন।
প্রথমে সাংবাদিকরা সিইসিকে দুই সিটি নির্বাচন কেমন হয়েছে জানতে চান। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, ভালো হয়েছে। আমরা বড় ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।’
এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে পদত্যাগ দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘কেউ চাইলেই পদত্যাগ করব না।’
এর আগে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। দলদুটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে এবং ব্যর্থতার দায়ে তার পদত্যাগ দাবি করে।
তার আগে সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকরা দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে সিইসির কাছে ভোটের হার সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন ভালো হয়েছে। পার্সেন্টেজ আমি জানি না। পার্সেন্টেজ বোধ হয় ৩০ এর নিচে থাকবে, এর বেশি যাবে না আমার মনে হয়।’
এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে দলটি অভিযোগ করে। এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘কোনো এজেন্ট অভিযোগ করেনি যে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমি যেখানে গিয়েছি সব দলের এজেন্ট ছিল।’
ইভিএম নিয়ে বিএনপি নানা অভিযোগ করলেও সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, ‘যারা ইভিএমে ভোট দিয়েছেন, তাদের কেউ ইভিএমের বিরোধিতা করেননি। কেউ বলেছে জটিল, বা দেরি হয়েছে। অধিকাংশই বলেছেন- স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন, সহজেই ভোট হয়। কখনো একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না।’
প্রকৃত ভোটারের আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর তার বদলে আরেকজন ভোট দিয়েছেন- এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সিইসি বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ আমি পাইনি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটিতে একদিনেই ভোট হয়েছিল। তাতে ব্যালট পেপারে গড়ে ভোট পড়েছিল ৪৩ শতাংশ।
সেবার ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৩৭ শতাংশ, দক্ষিণ সিটিতে ৪৮ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ভোট পড়েছিল ৪৭শতাংশ। আর ২০১৯ সালে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদের উপ নির্বাচনে ৩১ শতাংশ ভোট পড়ে।
Comment here