ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে অজ্ঞান করে লিঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তির নাম হারুনুর রশিদ। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ব্যক্তি দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৮) এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে নিষেধ করার পরেও পুনরায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় মাস খানেক আগে স্ত্রীর ফোনটি কেড়ে নেন তিনি।
হারুনুর রশিদ জানান, সেই ঘটনার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এমন অবস্থায় গতকাল দিবাগত রাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম তাকে একাধিকবার রাতের খাবার (পোলাও) খেতে অনুরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে বাধ্য করে পোলাও খাইয়ে দেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার লিঙ্গ কেটে স্ত্রী পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় আহতের ভাই হাফেজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান আহত হারুনুর রশিদ।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
Comment here