চাঁদপুর প্রতিনিধি : নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন নিম্নমানের কাগজে এবার পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে। তবে পাঠ্যপুস্তকের কাগজের উজ্জ্বলতা কম হলেও মান খারাপ নয় বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ বুধবার বেলা ১২টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।তার আগে সেখানে তিনি ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এ বছর বই ছাপানোর জন্য বিদেশ থেকে কাগজ আনার কোনো সুযোগ ছিল না। আমাদের যে কাগজ ছিল সেটি দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে। আর এটির মান একেবারে খারাপ হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র কাগজের উজ্জ্বলতা কম হতে পারে। এটিতে কোনো সমস্যা নয়। কারণ কাগজে বেশি উজ্জ্বলতা হলে তা চোখের জন্যও ক্ষতিকর।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশেও যখন বই ছাপা হয়, তখনও উজ্জ্বলতা কমিয়ে বই ছাপানো হয়। আমাদের দেশে অনেকেই মনে করেন কাগজ যত বেশি সাদা হবে, ততই ভালো।’
দীপু মনি বলেন, ‘আগে একটি বই অনেকজন শিক্ষার্থী পড়েছে। এখন একটি বই একজন শিক্ষার্থী এক বছরই শুধু পড়ে। সুতরাং এই বই নিয়ে বড় ধরনের কোনো অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। আমাদের যেকোনো বিষয় নিয়ে গেল গেল বলে রব ওঠে। কিন্তু সেটি সত্যিকার অর্থে দেখে এবং তার গুণাগুণ বিচার না করে, সেটি কেন করা হয়েছে, কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ মাথা ঘামাই না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অতি মহামারি এবং বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার পর নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি বই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন প্রমুখ।
Comment here