পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নোটিশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে কিনা তা জানতে চান আদালত। এ কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু এই নোটিশ পাঠান। এতে পাপুলের ব্যাপারে এ তথ্য গণমাধ্যম মারফত জাতিকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘কুয়েতের ব্যবসায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল গ্রেপ্তার হয়ে সে দেশের কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে কুয়েতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘পাপুল একজন বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে কীভাবে বহির্বিশ্বে শত শত কোটি টাকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত করছেন তা নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতূহল রয়েছে। তিনি কুয়েতের নাগরিক কিনা এই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা, দ্বৈত নাগরিক হলে বাংলাদেশের সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বৈধ সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকে কিনা সে বিষয়েও জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে।’

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা তা জানাতে অনুরোধ জানানো হলো।

এদিকে, আজ পাপুলের স্ত্রী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও শ‌্যালিকা জেসমিন প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কমিশন।

পাপুলের অবর্তমানে এই জিজ্ঞাসাবাদের ওপর নির্ভর করছে তার অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের অনুসন্ধান। দুদকের তলব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাপুলের স্ত্রী ও শ্যালিকা দুদকে হাজির হলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দীন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এমপি সেলিনা ইসলাম ও তার বোন জেসমিন প্রধানকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

এর আগে গত ১২ জুলাই সেলিনা ও জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সালাহউদ্দীন। এর আগে গত ২২ জুন একই অভিযোগে পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা এবং জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক।

তার আগে গত ১৭ জুন এ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় কমিশন। পাশাপাশি পাপুল দেশে ফিরলে আর যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দিয়েছে দুদক।

Comment here