নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন পর্যন্ত গার্মেন্ট কারখানা খোলার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি’ (বিজিএমইএ)। গতকাল শুক্রবার রাতে বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে সদস্যদের উদ্দেশে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি চাকা চলমান রাখতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা দেবে বিজিএমইএ। তবে সেই নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছেন, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়া হবে। শুরুতে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক আছেন, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা হবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ।
জানা গেছে, সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে মালিকরা যেন বাধ্য না করে, সেজন্য বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দিয়েছে।
এদিকে, সরকার সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েছে।
এর আগে, করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
Comment here