সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রী নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকার ‘গণমাধ্যম বান্ধব সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিক সমাজের সুখ-দুঃখের সাথে তিনি জড়িয়ে আছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারণ সরকারের উদারনীতির সাক্ষ্য বহন করে।’

করোনাকালে মিডিয়া কর্মীদের বন্ধু ও স্বজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পাশে দাঁড়িয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুরক্ষায় নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ’

আজ বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্যের বিপরীতে তিনি বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকার করেনি,করবেও না। বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছিল তারা এবং তাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগও এনেছিল বিএনপি।’

দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির মুখে দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্য ভুতের মুখে রাম রাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতিতে অটল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন মন্ত্রী, ‘এমপি, ব্যবসায়ী, আমলা যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।’

দুদক স্বাধীনভাবে তদন্তের মাধ্যমে কাজ করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় অনেক এমপিরও সাজা হয়েছে, কেউই রেহাই পাচ্ছে না এবং দলীয় পরিচয়ের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে আছেন।’

দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনোভাবেই মনোনয়ন পাবে না বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। দুদকের মতে তথ্য-প্রমাণের অভাবে অনেক মামলা এগুচ্ছে না, কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে এবং অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে বিএনপির প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘দুর্নীতি করে যারা দেশ-বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বা সম্পদ গড়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

 

Comment here

Facebook Share