ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্মাহত হয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ওই ছাত্রীর সব ধরনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
আজ রোববার বিকেলে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বক ডা. সামন্তলাল সেন। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে যান।
ঢামেক হাসপাতালে ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেনীর ওই ছাত্রীর সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি তার চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মেয়েটির চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। পরে সেখান থেকে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চারজন বোরকা পরিহিত তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঢামেক হাসপাতালে নুসরাত জাহান রাফির চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় এই বোর্ড গঠন করে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। এর আগে সকালে তাকে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
Comment here