সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকাকে মুঠোফোনে নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠা প্রধান শিক্ষকের নাম ভবেশ চন্দ্র রায়। তিনি উপজেলার সরাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক।
আজ রোববার ওই দুই শিক্ষিকা এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাড়াশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের কুপ্রস্তাবের অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাড়াশের ইউএনও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকাদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায় বিভিন্ন সময়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী বালা ও শাহানা খাতুনকে মুঠোফোনে নগ্ন ছবি দেখিয়ে ও বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি স্বাক্ষরের জন্য প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে তিনি কথার মধ্যেও ওই দুই শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দিতেন।
ওই দুই নারী শিক্ষকের দাবি, বিষয়টি একই বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শাজাহান আলী ও জহুরুল ইসলামকে জানালে তারা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানান। এ নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষক সভাপতির কাছে একাধিকবার ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। কিন্তু তার পরও প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র সংশোধন না হয়ে আবারও বিভিন্ন সময়ে ওই দুই শিক্ষিকাকে নানা অজুহাতে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কথা না বলে ফোন কেটে দেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কুপ্রস্তাবের বিষয়ে দুই শিক্ষিকা অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে তাড়াশের ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওবায়েদুল্লাহ জানান, তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comment here