দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তা এড়িয়ে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সিইসির কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান যে, আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শোকজ ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কমিশন। এ বিষয়ে ইসির অবস্থান কী- জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমার যা বলার ছিল আমি বলেছি। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।’
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নমিনেশন সাবমিশন পর সংক্ষুব্ধরা আপিল করতে পারেন। আমাদের রিটার্নিং অফিসাররা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। কিছু কিছু প্রত্যাখান করেন। যারা প্রত্যাখ্যাত হন বা যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই আপিল করা যায়। ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপিল শুনানি হবে ১০থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনব। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেব।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শোকজ করা ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর কেন ইসিতে এসেছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওটা আমার বিষয় না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আজ আপিলের প্রথম দিনে ২৬ জন স্বতন্ত্রসহ ৪২ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করেছেন।
Comment here