লৌহজং (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি : মাওয়া প্রান্তে পিয়ারে বাসানোর জন্য প্রস্তুতি বা ক্রেনে তোলা ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলছিল আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৯তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারে উদ্দেশে রওনা হয়। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিয়ার দুটির দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। ভাসমান ক্রেন এ দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার পর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা আর আবহাওয়ার অনুকূল কাটিয়ে এদিনই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হয়। ৩৯তম স্প্যানটি বসার পর সেতুতে বাকি থাকল দুটি স্প্যান বাসানোর কাজ। আগামী ডিসেম্বর মাসে ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা সেতুতে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্য কাজও এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে সেতুতে ১ হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে ও ১ হাজার ২৩৮টি রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৯টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই অনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।
Comment here