বরগুনা প্রতিনিধি : প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১২)। পথে তাকে দেখে তুলে নিয়ে যায় শাওন (১৯) নামে এক যুবক। স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির পেছনে ঝোপের ভেতর নিয়ে ‘ধর্ষণ’ করে মেয়েটিকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করলে শাওনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ভুক্তভোগী শিশুকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত দুমাস ধরে সে বাড়ির কাছেই প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়তে যেত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পড়া শেষে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় নুরুল ইসলামের ছেলে শাওন তাকে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির পেছনে ঝোপের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি প্রথমে সন্তানকে নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে প্রাথমিকভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধে চিকিৎসা দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নীহার রঞ্জন বৈদ্য দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘শিশুটির যৌনাঙ্গে গুরুতর যখম হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।’
Comment here