বগুড়ার আদমদীঘিতে ট্রেনে কাটা পড়ে অর্পিতা রানী সাহা (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার নসরতপুর বাজারের অরুণ সাহার মেয়ে। রবিবার সকালে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার নসরতপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী অর্পিতা রানী সাহা। তার সাথে একই কলেজে লেখাপড়া করতো মুরইল বাজার এলাকার মো. দিপু নামের এক শিক্ষার্থী। দিপুর সাথে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমেরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অর্পিতা রানী সাহার। দুইজন দুই ধর্মের বলে এ নিয়ে পারিবারিক জটিলতা তৈরী হয়। পরে দুই পরিবারের মাঝে সমঝোতা মতে তাদের নিজ নিজ ধর্মের মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়ার সীদ্ধান্ত হয়। এর ৬মাস পর দিপু বিয়ে করলেও অর্পিতাকে তার নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসে তার পরিবার। এরপর থেকে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে অর্পিতা। সম্প্রতি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার বাবা-মা।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী পদ্মরাগ আন্ত:নগর ট্রেনটি উপজেলার নসরতপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বপাশে ব্রিজ এলাকা অতিক্রম করার সময় কলেজছাত্রী অর্পিতা রানী সাহা কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানিয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
অর্পিতা রানী সাহার চাচা প্রকাশ সাহা জানান, রাতে ভাতিজি অর্পিতা তার মায়ের ঘরে টিভি দেখে নিজ ঘরে যাওয়ার জন্য বের হয়। এরপর নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাত সাড়ে ৯টায় জানতে পারেন ট্রেনে কাটা পড়ে সে মারা গেছে। সেখান থেকে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে রবিবার দাহ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নরেশ দাস জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান। মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো’ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এবং তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়।
Comment here