বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারে সাবেক যুবদল নেতার বাধা!

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা বাজার এলাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক নেতা মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আজ শুক্রবার দুপুরে মো. আব্দুল হামিদসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা বাজার এলাকায় হেষার পুকুরপাড়ে ভূমিহীন সমবায় সমিতির আয়োজনে বিজয় দিবস উপলক্ষে সমিতির কার্যালয়ে ভোর থেকে মাইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করছিল। গত বুধবার সকাল ৯টার সময় ছোনকা বাজার এলাকায় হেষার পুকুরপাড়ের ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হামিদ সমিতির ঘরে ঢুকে ভাষণ বন্ধ করার কথা বলেন। ভাষণ বন্ধ না করায় হামিদ একপর্যায় জোর করে  মাইক বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে সমিতির লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে আবার মাইকে ভাষণ প্রচার শুরু করা হয়। হামিদ ক্ষুব্দ হয়ে তিন-চারজনকে সঙ্গে নিয়ে সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ভাষণ বন্ধ করার কথা বলেন। এ ছাড়া কার্যালয়ে সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করেন এবং ছবি অপসাণ করার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় ভূমিহীন সমবায় সমিতির আহ্বায়ক মো. আবদুল করিম ওরফে কাইঞ্চা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে মো. আব্দুল হামিদসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভবানীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। তার চরম শাস্তি হওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বিষয়টি বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আমি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাইনি। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’