বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় আলতাব হোসেন নামে এক শ্রমিক নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দু’টি দেশি অস্ত্র, ৪০ ইঞ্চি লম্বা হাসুয়া ও ২২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আলতাব হোসেনসহ তার দুই ছেলে বিপ্লব ও বাবু এবং মাদক সেবনকারী মেরিল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের সাথে আটককৃতদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এত দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মিলিকবাঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাঘা থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দক্ষিণ মিলিক বাঘা গ্রামে বাঘা উপজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাব হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালান বাঘা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফর রহমান, উপ-সহকারী পরিদর্শক (এ.এস.আই) মাসুদ ইকবাল ও রেজাউল করিম।
এ সময় আলতাব হোসেন (৫৫), তার ছেলে বিপ্লব (৩২) ও বাবুর (২৮) ঘর তল্লাশি করে পুলিশ দু’টি দেশি অস্ত্র, ৪০ ইঞ্চি লম্বা হাসুয়া, ২২ বোতল ফেনসিডিল, চারটি মোবাইল ফোন এবং নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ ও তাদের আটক করে। ওই বাড়িতে মাদক সেবন করতে আসা পাশের চন্ডিপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে মেরিলকেও (৩৫) আটক এবং তার ব্যবহৃত একটি অ্যাপাসি ব্রান্ডের মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় এসআই লুৎফর রহমান বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বাদি এসআই লুৎফর রহমান জানান, ‘অনেক দিন থেকে শুনে আসছি শ্রমিক নেতা আলতাব হোসেনের বাড়িতে মাদক বেচাকেনা হয়ে থাকে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের অভাবে সেখানে এর আগে অভিযান চালাতে পারিনি। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নির্ভরযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেই বাড়িতে অভিযান চালাই। এ সময় তারা আমাদের উপর আক্রমন করলে দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে থানায় ফোন করে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসি।’
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অপরাধী যেই হোক তার কোন ছাড় নেই। এ ঘটনায় মাদক, অস্ত্র এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে তিনটি ধারা সংযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরাধীদের শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।
Comment here