বাঘায় বিধবার ৩৭ বছরেও জোটেনি ত্রাণ,বিধবা ভাতা রহেদা বেগমের ভাগ্যে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজশাহীসমগ্র বাংলা

বাঘায় বিধবার ৩৭ বছরেও জোটেনি ত্রাণ,বিধবা ভাতা রহেদা বেগমের ভাগ্যে

হাবিল উদ্দিনঃ স্বামীর মৃত্যুর ৩৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ত্রাণ, বিধবা ভাতা,বয়ষ্ক ভাতা  পাইনি কোন সরকারী ঘর   রাজশাহী জেলার বাঘা পৌসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কলিগ্রাম গ্রামের রহেদা বেগম (৬১)। বিয়ের ৬\৭ বছরের মধ্যে মারা যান স্বামী মাজদার রহমান।তার পর আর বিয়ে করেননি তিনি।কোন সন্তান না থাকায় ঠাঁই হয়নি স্বামীর ভিটায়।স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই বাপের ওয়ারিশান সূত্রে পাওয়া এক শতাংশ জমির উপর কোন রকম খড়ের ছাইনি দিয়ে বসবাস করে আসছিল দীর্ঘদিন।গত বছর ঘরটি ভেঙ্গে গেলে প্রতিবেশীদের সহায়তায় কোন রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় রহেদা বেগমের।স্বামীর মৃত্যূ পর থেকেই আজ পর্যন্ত  অন্যের বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করছেন।

রহেদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ৩৭ বছর আগে তার স্বামী  মারা গিয়েছে। অনেক চেয়ারম্যান মেম্বর পরিবর্তন হলেও আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি, জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করলেও চেয়ারম্যান কিংবা ওয়ার্ড মেম্বর আমার কোনো খোঁজ-খবর নেন না। তাদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও আজও একটা বিধবা ভাতা কার্ড পাইনি।অন্যের বাড়ী বাড়ী কাজ করি।কোন দিন কাজ পাই,কোন দিন পাই না।যেদিন কাজ থাকে না সেদিন অনাহারে দিন পার করি।লোক লজ্জার ভয়ে ভিক্ষা করতে পারি না।এত দিন শরীরে শক্তি ছিল যে কোন কাজ করতে পারতাম।এখন বয়স হয়েছে  আগের মত কাজ করতে পারি না।তাই আগের মত মানুষ কাজে নিতেও চায় না। শুনলাম কি যেন ভাইরাস আইছে তাই মানুষ ঘর হইতে বাহির হতে নিষেধ করছে।সরকার নাকি বাড়ী বাড়ী খাবার দিব,কই আজ কয়েক দিন হলো কেউতো আসে না এমনটাই আক্ষেপ করে কথাগুলো যখন    বলছিল তখন না খেয়ে থাকার ছাপ তার চোখে-মুখে ভেসে উঠছিল।গরীবের কপাল ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।

স্থানীয় মিলন, আঃমান্নান, শাহা-আলমসহ অনেকে জানান, রহেদা একজন অসহায় গরিব মহিলা। কিন্তু সরকারি কোনো অনুদান তার ভাগ্যে পৌঁছায় না। তাকে যদি কেউ একটা বিধবা ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে কিছুটা হলেও তার আর্থিক সুবিধা হতো।

এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার ৩নং নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর বলেন, আমি রহেদা বেগমের ব্যাপারটি জানতাম না, মাত্র জানলাম। এবার কার্ড আসলে রহেদা বেগমের নাম থাকবে।

Comment here