নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেটকে ধরলে সংকট তৈরি হবে- বেশ কয়েক দিন আগে এমন কথা বলেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ কথাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আনা হলে তিনি বলেছেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমি ধরতেছি।’ আজ মঙ্গলবার গণভবনে ব্রিকস সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম প্রশ্ন করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যে সিন্ডিকেট করে ১৫-২০ দিনের গ্যাপে জনগণের পকেট থেকে অনেক টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এটি কয়েক বছর ধরেই চলছে। সিন্ডিকেটের কথা দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাও বলেন যে সেই জায়গাটায় হাত দেওয়া যায় না। তারা বলেন, এখানে হাত দিতে গেলে বিপদ আছে। নিত্যপণ্যের এই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিরস্ত্র করার, তাদের প্রতিরোধ করার বা মৌসুমি ব্যবসা থেকে তাদের বিরত রাখার ব্যাপারে সরকার কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কি না।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিপদ আছে- কে বলেছে আমি জানি না। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে যখন হয়, তখন তো ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
এরপর সাইফুল আলম বলেন, ‘দুজন মন্ত্রী বলেছেন, এই সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে বলেছে?’ জবাবে যুগান্তর সম্পাদক বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন’। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছে, আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব তো।’
সাইফুল আলম এ সময় বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না। পেঁয়াজ এক রাতে ২০ টাকা বেড়ে যাবে, এটা তো সম্ভব না।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরতেছি।’
সিন্ডিকেটের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সব সময়, বাংলাদেশে একটা শ্রেণি আছে। আমাদের খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউস আছে, যারা ব্যবসা করে। তারা যখনই আর্টিফিসিয়ালি দাম বাড়ায়, আমরা তো সাথে সাথে সেটা আমদানি করি অথবা বিকল্প ব্যবস্থা আমরা করি যাতে তারা বাধ্য হয় দাম কমাতে। সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা তো নেই। কাজেই সিন্ডিকেট থাকলে, সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না এটা তো কোনো কথা না। কে কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না। ঠিক আছে আমি দেখব এটা, কি ব্যবস্থা করা যায়।’
Comment here