নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এই কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছে ঘটনা শুনে তাকে জড়িয়ে ধরেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (ঠেলাগাড়ি প্রতীক) তার এজেন্টদের নিয়ে কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশের সময় বাধা দেয় ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার উদ্দিন খানের (ঝুড়ি প্রতীক) লোকজন। তাদের গলায় মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার উদ্দিন খানের কার্ড ঝোলানো ছিল।
পরে বাধা উপেক্ষা করে মোস্তাফিজুর রহমান তার এজেন্টদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে চড় থাপ্পড় মারেন তারা। এরপর মোস্তাফিজুর রহমান এজেন্ট ছাড়াই ভেতরে প্রবেশ করলে আফসার উদ্দিন খানের লোকজন বেরিয়ে যান। ২০ মিনিট পর তারা ফেরত আসেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মূল গেট দিয়ে ঢোকার পর আফসার উদ্দিন খানের লোকজন আমাকে এবং আমার এজেন্টদের মারধর করে। পুলিশ দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আটটার দিকে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এসেছি, মারধরের কিছু দেখিনি। পরে মোস্তাফিজুর রহমান আমার কাছে এসে বিষয়টি বলেছেন। উনি যা বলেছেন, আপনারা তা দেখেছেন। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বলবো। আমি নিজেই মোস্তাফিজুর রহমানকে জড়িয়ে ধরেছি। আমি মনে করি, এমন সুন্দর সম্পর্ক হওয়া উচিত। আসুন আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সবাই ভোট দিই।’
জানতে চাইলে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, কেউ এ ধরনের কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comment here