বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ, থমথমে নয়াপল্টন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ, থমথমে নয়াপল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত এবং পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর থেকে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ বা সেখান থেকে কাউকে বের হতে দেখা যায়নি।

এ ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও নয়াপল্টনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিন সকাল ৯টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিজয়নগর মোড় থেকে নয়াপল্টনে যাওয়ার রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আরামবাগ মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেট বসাতে দেখা গেছে। এর ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে সেই রাস্তায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের গাড়িগুলোকেও সেই রাস্তায় প্রবেশে বাধা দিতে দেখা গেছে।

আবার নয়াপল্টনের আশপাশের গলির মুখেও অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পুলিশ এই সড়কে কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুই পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‌‘আজ ভোর থেকেই পল্টন এলাকায় কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত শুধু চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া এবং এই রাস্তা ব্যবহারের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

পল্টন এলাকায় কতদিন এই অবস্থা চলমান থাকবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নেই। তবে ১১ ডিসেম্বরের আগে এখান থেকে পুলিশ সরানো হবে না।’

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশস্থল নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করার ব্যাপারে অনড়। বিকল্প স্থান হিসেবে তারা আরামবাগ, জাতীয় ঈদগাহে যেতে রাজি।

তবে সরকার বলে আসছে, কোনোভাবে রাস্তার ওপর বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। সোহরাওয়ার্দীর বিকল্প হিসেবে তারা উন্মুক্ত কোনো মাঠ চাইলে দেওয়া হবে। সমাবেশের স্থান নিয়ে দুইপক্ষ ভিন্ন মেরুতে অবস্থানের মধ্যে নয়াপল্টনে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

Comment here