প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কৃষিতে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ততটা করতে পারছি না। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ সবদিক থেকে এগিয়ে গেলেও স্বাস্থ্যখাতের গবেষণায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি।’
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আরও পড়ুন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব পরিবর্তনশীল, এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ২১ বছর পর যখন ক্ষমতা পেলাম, তখন শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেই। একটা প্রজেক্ট নিয়েছিলাম নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীরাই শুধু শিক্ষা পাবে তা না, বয়স্করাও যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, এক একটা জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা দিয়ে অনেকটা সফল হয়েছিলাম। পাঁচ বছর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এ প্রকল্প বাদ করে দেয়।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি তখন দেখি সেশনজট। ৬, ৭, ৮ বছর করে সেশনজট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি। আমাদের বহু বন্ধু শিক্ষক ছিল, তারা বলতো আমাদের গুলির আওয়াজ আর বোমের আওয়াজ না শুনলে ঘুমই আসে না। এটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমরা এটুকু দাবি করতে পারি ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর সেই পরিবেশ থেকে শিক্ষাঙ্গনকে আমরা মুক্ত করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তারপর ক্ষমতায় এসে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজকে কিন্তু আমরা সফল হয়েছি, বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। আমরা যদি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে চলব কিভাবে?’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নতি হয়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। বিশ্বব্যাপী মানুষ যখন খাদ্যে বেশি কষ্ট ভোগ করছে, হ্যাঁ আমাদের এখানেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে অন্তত খাবার পাওয়া যাচ্ছে। এটার কারণ আমি প্রথমবার সরকারে এসেই গবেষণার জন্য আলাদা করে টাকা দিয়েছিলাম। প্রথমে দিলাম ১২ কোটি টাকা। পরে বাজেটের সময় ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখলাম শুধু গবেষণার জন্য।’
Comment here