বাদশা আলী, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে বিবাহ রেজিষ্ট্রার্ড না করে ভূয়া কাগজ ও নকল সিল স্বাক্ষার ব্যবহার করে বিবাহের কাগজ সরকরাহ ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার ফি অতিরিক্ত আদায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে একদম্পতিকে লাঞ্চিত করার অপরাধে মো.মফেজ উদ্দিন সরকার নামে এক ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার্ড কাজীকে গ্রেফতার করেছেন বিরামপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রামের সৈয়দ পয়গম্বর আলির ছেলে সৈয়দ রাশেদুজ্জামান (২৬) বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করলে থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে মামলা গ্রহন পূর্বক বৃহস্পতিবার জেলহাজতে প্রেরণ করছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে যার মামলা নং ০৬।
গ্রেফতারকৃত নিকাহ রেজিষ্ট্রার্ড কাজী মফেজ উদ্দিন সরকার জোতবানি ইউনিয়নের কেটরা গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন সরকারের ছেলে।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টম্বর বিবাহ রেজিষ্ট্রীর উদ্দেশ্যে উপজেলার অচিন্তপুরের সৈয়দ পয়গম্বর আলির ছেলে মামলার বাদী বর সৈয়দ রাশেদুজ্জামান ও অচিন্তপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে কনে সিরিনা বেগম তাদের অভিভাবকসহ জোতবানি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার্ড কাজী মফেজ উদ্দিন সরকার এর বাড়ির অফিসে উপস্থিত হয়।
এ সময় উক্ত কাজী বিবাহ রেজিষ্ট্রারি ফি বাবদ তাদের কাছে নগদে ৫ হাজার টাকার দাবি করলে তারা দিয়ে দেয়। সেই সাথে উপস্থিত সকলের সামনে ইসলামি সরা মোতাবেক কাজী তাদের বিবাহ পড়িয়ে দেন। রেজিষ্ট্রেরীর কাগজ পেতে আরো কয়েকদিন দেরি হবে বলে তাদের চলে যেতে বললে তারা চলে যায়।এর পর ছেলে মেয়ে উভয়ের অভিভাবকসহ গত ১৯ অক্টোবর উক্ত কাজীর বাড়িতে নিকাহ রেজিষ্ট্রেরীর কাগজ চাইতে গেলে কাজী মফেজ উদ্দিন আরো ১০ হাজার টাকার দাবি করে বসেন। তা না দিলে তিনি কোন কাগজ দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ বিষয় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে কাজী মফেজ ভয়ভিতি প্রদর্শণ করে কনে সিরিনা ও বর রাশেদুজ্জামানের নিকট থেকে দু’টি আলাদা রংগের কাগজে সাক্ষর গ্রহন পূর্বক তাদের লাঞ্চিত করে দ্রুদ অফিস ত্যাগ করে চলে যায়।
বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি করেছে।এলাকার সর্বস্থরের সচেতন মহল তদন্ত সাফেক্ষে কাজীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Comment here