শফিকুল ইসলাম : ইতিমধ্যে ময়দানের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভিতর ও বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টাঙ্গানো শেষ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট মেরামত এর কাজ চলছে
বাংলাদেশে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। এবার ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ১০ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে ১২ জানুয়ারি। মাঝে চারদিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ১৬০ একর জমির ওপর প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করে থাকেন। এটি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অনেক মুসল্লি দলবল নিয়ে আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে ইজতেমা মাঠে চলে আসেন এবং ময়দানে কাজে অংশ নিয়ে থাকেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রের খবর, তাদের ব্যবস্থাপনায় ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪টি এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন ও ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থা থাকছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জল সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থায় রয়েছে। মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন জলের ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জল ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এবারের ইজতেমা রেকর্ড সংখ্য মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তার ব্য্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
Comment here