বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন ধর্ষিতের মা। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সংড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. জাকির মিয়া পাশের নালিতাবাড়ির উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। একপর্যায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে জাকির ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অটোবাইকে করে বেতকুড়ি গ্রামে পরিত্যক্ত সিরাজুল ইসলাম ওরফে বাবুল মাস্টারের বাড়িতে নিয়ে যায়।

এর আগে কৌশলে ওই বাড়ির চাবি নিজের সংগ্রহে রাখে জাকির। পরে ওই তরুণীকে নিয়ে সে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বেতকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মিজানুর রহমান ও আব্দুল আজিজের ছেলে মনির হোসেন তাদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে জাকির মিয়া পরিত্যক্ত ওই ঘরে তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করেন।

পরের দিন গত ১ অক্টোবর সকালে অটোবাইকযোগে জাকির ওই তরুণীসহ তার সহযোগীদের নিয়ে হালুয়াঘাট বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। পরে সেখান থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে ঢাকায় তার মা-বাবার কাছে চলে যাবে বলে গাড়িতে ওঠে। কিন্তু টিকিট মাত্র একটি থাকায় তরুণী সন্দেহ পোষণ করে। এ নিয়ে জাকিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে তারা।

পরে কোনো উপায়ন্তর না দেখে জাকির ওই তরুণীকে নিয়ে সংড়া বাজারে আসে। সেখানে তার সহযোগী এক বন্ধুকে অটোবাইকটি নিয়ে যেতে বলে। পরে সেখান থেকে জাকির পালানোর চেষ্টা করলে ওই তরুণী তার হাত টেনে ধরে। এ সময় তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায় জাকির।

জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে বাবুল মাস্টার জানান, ‘বাড়িটিতে আমি বসবাস করি না, পাশের বাড়িতে আমার এই বসতঘরের চাবি রয়েছে। তারাই মূলত বাড়িটি দেখাশুনা করে। জাকির কীভাবে চাবি সংগ্রহ করলো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে ঘটনাটির আপোস মীমাংসার জন্য একটি মহল ওই তরুণীর বাবাকে হুমকিসহ মোটার অংকের টাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সুবিচার দাবি করেছেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comment here