‘বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পুলিশ-সেনাবাহিনীকে ফাঁকি দেবেন না’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
মুক্ত বাক

‘বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পুলিশ-সেনাবাহিনীকে ফাঁকি দেবেন না’

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী প্রায় অবরুদ্ধ। বাংলাদেশেও কার্যত লকডাউন। সরকারি হিসেবে এই ভাইরাসে দেশে আক্রান্ত ১২৩ জন। আর মারা গেছেন ১২ জন। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে ঘরে অবস্থানের কথা বলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়ে আবারও সবাইকে ঘরে থাকার বিষয়টি স্মরণ করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলেশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলামের স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলো :

ছাত্রজীবন ও চাকরিজীবন মিলিয়ে অনেকদিনই ঢাকায়। ছাত্রজীবনে না হলেও চাকরিজীবনে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া কর্মস্থলেই ঈদ করি। আমার অনেকদিনের অভ্যাস হলো ঈদের আগের ও পরের দিন ঢাকার অলিগলি ঘুরে দেখা। যেহেতু কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যায়, সেহেতু রাস্তাঘাট খুব ফাঁকা থাকে। তবে অলি গলির মোড়ের দোকান খোলা থাকে, যেখানে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় মানুষ ঘোরাফেরা করে, আড্ডা দেয়। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাত অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখা গেলে অলিগলির বাসাগুলো থেকে ছেলেরা বেরিয়ে আসে, জম্পেশ আড্ডা দেয়।

করোনার ভ্যাকেশনে প্রতিদিনই কমবেশী অফিস করি, সরেজমিনে আমাদের পুলিশের যে সমস্ত সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে, তাদের কাজ দেখি। তার অংশ হিসেবেই আজ দুপুরে বাসাবোর গলিতে গিয়ে মনে হলো ঈদের চাঁদ দেখা গেছে, সবাই কেনাকাটা করছে। কেউ তরমুজ, কেউ পেঁপে, কেউ আনারস, কোকের বোতলও দেখা গেল কারো কারও হাতে। পুলিশ দেখে মনে হলো কিছুটা ঘাবড়ালেও আড়ালে-আবডালে মোবাইলে পুলিশ কী করে তা ভিডিও করার জন্য কেউ কেউ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে।

মহামারির ইতিহাস জানি বলেই বিশ্বাস করি যে, করোনার ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন বেরুলে নভেল (কোভিড-১৯) কেবলমাত্র ভাইরাল ফেভার হয়ে যাবে, যা দু’দিন ওষুধ খেলে সেরে যাবে। কিন্তু যতদিন তা না হয় ততদিন করোনা মহামারিই হিসেবেই প্রাণহরণ করতে থাকবে। আমি জানি, এই লেখা আপনারা যারা পড়বেন তারা কেউ কেউ ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার দেখবেন না, আমি নিজেও দেখতে না পারি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই বেঁচে থাকবেন, তা দেখবেন এবং সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। সেটি দেখবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনার। ঢাকা শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট কিন্তু ঠিকই থাকবে, চায়ের দোকান থাকবে, থাকবে মসজিদ, মন্দিরসহ উপাসনালয়। করোনা থেমে গেলে এসব দেখার সুযোগ থাকবে। যদি এগুলো দেখতে চান, বেঁচে থাকতে চান তাহলে পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীকে ফাঁকি দেবেন না, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিন।

*ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন

*স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

*সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য গণমাধ্যমের সাথে মিলিয়ে নিন

*গুজবে বিশ্বাস করবেন না, গুজব ছড়াবেন না

*সতর্ক থাকুন, নিজে বাঁচুন, পরিবারের সদস্যদের বাঁচান, মানুষ বাঁচান।

আপনাদের জন্য শুভ কামনা!

Comment here