বেনাপোলে ভ্রমন ট্যাক্স জটিলতায় যাত্রী ভোগান্তী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

বেনাপোলে ভ্রমন ট্যাক্স জটিলতায় যাত্রী ভোগান্তী

শরীফুল ইসলাম বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপেলে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমন করের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায় করা হয় যে রশিদের মাধ্যমে। সেই রশিদ বই না থাকার কারণে চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীদের।
শনিবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জারের ভিতর দেখা যায় অসংখ্য যাত্রীদের এলোমেলে লাইনের উত্তেজনা। বিষয়টি জানার জন্য সামনে এগিয়ে গেয়ে সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা তুলে ধরেন বিভিন্ন অভিযোগ।
পাসপোর্ট যাত্রী সুমন হোসেন বলেন, আমরা এতোদিন এপথে ভারত ভ্রমন করেছি কিন্তু কখনো ভ্রমন ট্যাক্স নাই এমন কথা শুনিনি। কিন্তু আজ এসে শুনলাম এখন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ট্যাক্স পরিশোধ করে তার কপি সাথে রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতির জন্য তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেন, এমন হলে তাহলে পূর্ব থেকে কেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বড় অক্ষরে লেখার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ায়নি ? যদি তারা সেটি করতো তাহলে আজ সাধারণ যাত্রীদের এমন হয়রানির স্বিকার হতে হতো না।
ভারতগামী মায়া রানী সরকার বলেন, ভ্রমন ট্যাক্স না থাকার কারনে আমাদেরকে অন্য লোকের মাধ্যমে ফটোকপি কাগজ সংগ্রহের করে তাতে আবার নিজেদের বা অপরিচিত মানুষের দ্বারা লিখে নিতে হচ্ছে। যেটা আগে ছিল না। অনেক পাসপোর্ট যাত্রীরা আছেন যারা বয়সের ভারে ঠিক মতো চলতে ফিরতে পারেন না আমি মনে করি তাদেরকে এভাবে কাগজ সংগ্রহ করা অনেক কষ্টের। তাই পূর্বের ন্যায় যেভাবে ছিল সেভাবে থাকায় ভাল বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এআরএম রাকিবুল হাসান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জনভোগান্তী কমানোর জন্য ও আরও সহজতর করার লক্ষ্যে ভারতগামী পাসপোর্টদের লাইনে না দাঁড়িয়ে যাতে সহজভাবে ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারেন সেজন্য অনলাইনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। যেটা আমরা প্রতিটি পরিবহন কাউন্টারে যেয়ে বলে ও কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ভ্রমনকর পরিশোধ করতে পারবেন সে বিষয়েও দেখিয়ে এসেছি। এছাড়াও বেনাপোল চেকপোষ্ট ভ্রমনকর কাউন্টারের সামনে অনলাইন বিষয়ে পূর্ব থেকে পোস্টার টাঙানোর মাধ্যমে জনসাধারনের সচেতন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আগে রসিদের মাধ্যমে ট্যাক্স জমা নেওয়া হতো এতে জালিয়াতির সুযোগ ছিলোনা। কিন্তু বর্তমান দেখছি কাগজের ০৩ টি ফটোকপির মাধ্যমে ট্যাক্স কাউন্টার সেটির ভিতর একটি গ্রহন করছেন এবং বাকি ২টিতে সিল দিয়ে ভ্রমনকরের ৫০০ টাকা গ্রহন করছেন। কিন্তু এই ছিল জালিঢাতি হবে না তার কতটুকু নিশ্চিতা আছে। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভ্রমনকর পরিশোধের যে টোকেন যাত্রী নিবেন তা শতভাগ সত্যতা যাচায়ের জন্য কাস্টমস এ প্রয়োজন (কিউ আর কোড রিডার) মেশিন যার দ্বারা টোকেনের সত্যতা যাচাই করা হয়। কিন্তু এখানে কিউআর কোড রিডার মেশিন না থাকার কারনে জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেক। তবে এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এবং যাত্রী হয়রানি কমানোর জন্য ৫শ বই এনআরবি কর্তৃপক্ষ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন হয়তো দু একদিনের মধ্যে আমরা পেয়ে যাবো। তখন আর এই জটিলতা থাকবে না বলে তিনি জানান।

Comment here