নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সদর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন। পরে রক্তমাখা ছুরি হাতে ছোট ভাই শাজাহান থানায় হাজির হয়ে বড় ভাই ওমর ফারুককে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার জংলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নাটোর সদর উপজেলার জংলী গ্রামের মৃত সিদ্দিক ব্যাপারীর পাঁচ ছেলে। তাদের মধ্যে নিহত ওমর ফারুক ও ছোটভাই শাজাহান বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ওমরের স্ত্রী তার সংসার ছেড়ে অনেক আগেই চলে যান। সম্প্রতি শাজাহানের স্ত্রীও তাকে তালাক দেন। শাজাহানের একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় ওমর নিজে রান্না করে ছোট ভাই শাজাহানকে খাওয়াতেন এবং দুভাই একত্রে বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শাজাহান ছুরি দিয়ে ওমরকে জবাই করে হত্যা করেন। পরে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে নাটোর থানায় হাজির হয়ে ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘শাজাহান ও ওমর দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। শাজাহান নিজেই থানায় এসে ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা করেছে কিছুই জানাননি।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিহতের অপর ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শাজাহানের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।’
Comment here