বিনোদন

ভিডিওটি বছর খানেক আগে দিল্লিতে ভাইরাল হয়েছিল- মেহজাবীন

বিনোদন প্রতিবেদক  : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা ভিডিও ছড়িয়েছে। ভিডিওটি নিয়ে কিছু অসাধু লোকজন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। আমার সব ফ্যান-ফলোয়ার আর সমর্থকের কাছে অনুরোধ, প্লিজ, মিথ্যা খবর কিংবা ভিডিওটি বিশ্বাস করবেন না।’

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোট পর্দার এই সময়ের জনপ্রিয় তারকা মেহজাবীন চৌধুরী। গতকাল সোমবার একটি আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ৩৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওর সঙ্গে মেহজাবীন চৌধুরীর নাম জড়ানো হয়।

ভিডিওটি দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, তাতে যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি মেহজাবীন চৌধুরী। অনেকে আবার তাঁদের মন্তব্যকে সমর্থনও করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটি ছিল একটা গুজব। গতকাল বিকেলে প্রথম তা জানতে পারি।

এরপর সন্ধ্যায় ভিডিওটি দেখেছি। বুঝতে পেরেছি, কেউ গুজব ছড়াচ্ছে। যেহেতু গুজব, তাই ব্যাপারটিকে কোনো গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু যতই সময় গড়াচ্ছে, দেখি গুজব ডালপালা মেলছে। অনেকেই আমাকে ফোন করে, মেসেজ পাঠিয়ে আসল ঘটনা জানতে চাচ্ছেন।

কেউ কেউ আবার সরাসরি প্রশ্ন করছেন। তখন প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিই।’ মেহজাবীন চৌধুরী জানালেন, এরই মধ্যে তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর নাম জড়িয়ে যে আপত্তিকর ভিডিওটি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে, সেটি বছরখানেক আগে ভারতের দিল্লিতে ভাইরাল হয়েছিল।

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির এই সময়ে আসল তথ্য বের করা খুব কঠিন কাজ? আমার ফ্যান-ফলোয়ারেরা কিন্তু তা বের করে দিয়েছেন। তাঁরা আমাকে এসব নিয়ে না ভাবার জন্য অনুরোধ করেছেন।’

২০০৯ সালের ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মেহজাবীন চৌধুরী বললেন, ‘ভিডিওটি ভাইরাল করার জন্য আমার নাম জড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমি ভাবছি যে মেয়েটির সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তাঁর কী অবস্থা।

অবশ্যই মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আর এভাবে প্রতারিত হয়ে কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এই মানুষরূপী পশুদের হাতে মেয়েরা নির্যাতিত আর প্রতারিত হয়েই যাবে? এর কোনো প্রতিকার নেই?

যেখানে আমি মোটেও দোষী না, এর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই, কিন্তু আমাকে জড়িয়ে যাঁরা সেই ভিডিওটি ব্যবহার করে গুজব ছড়াচ্ছেন; আপনারা কি জানেন, কত বড় অপরাধ করছেন? এর জন্য কী শাস্তি হতে পারে?’

মেহজাবীন চৌধুরী আরও বলেছেন, ‘আমি এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে জানিয়েছি। যাঁরা এই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন বা ছড়াতে সাহায্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাইবার ক্রাইম বিভাগকে অনুরোধ করেছি।’

Comment here

Facebook Share