আদালত প্রতিবেদক : ভ্রূণ হত্যা ও স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক আল মামুন জামিনের আবেদন নাকচ করে নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
মামলার আসামি নাজমুস সাকিব, তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ইশরাত জাহানের শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত অন্তঃসত্ত্বা হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।
Comment here