মদ্যপানে মৃত সেই ছাত্রীর বান্ধবী নেহা গ্রেপ্তার - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

মদ্যপানে মৃত সেই ছাত্রীর বান্ধবী নেহা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : মধ্যপানে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পর তার নিখোঁজ থাকা বান্ধবী নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আজিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি একটি ওই এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। মৃত ছাত্রীর বাবার করা মামলায় নেহা এজাহারভুক্ত আসামি।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ বলছে, নেহা ও মৃত আরাফাত ঘটনার রাতে পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেখানে বিষাক্ত মদ পানেই ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

এদিকে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সাফায়েত জামিল নামে এক শিক্ষার্থী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। একইসঙ্গে লিখিতভাবে মামলার আসামি হতে ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

পুলিশকে সাফায়েত জানান, সেই ছাত্রী তিনিসহ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে হালকা নাস্তার পর মদ্যপান করেন। পরে অসুস্থ বোধ করায় বাসায় ফিরে যান সাফায়েত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করেন। এদিন আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলায় সম্পৃক্ততার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সাফায়েত। এরপর বিচারক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হলফনামায় সাফায়েত দাবি করেন, গত ২৮ জানুয়ারি বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার সুইট রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তিনি। রেস্টুরেন্টে আরাফাত ও তার আরেক বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী তার বান্ধবীকে নিয়ে আসেন। পরে তারা হালকা নাস্তার পর মদ পান করে চলে যান। আমি অসুস্থ বোধ করলে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় চলে যাই। ৩০ জানুয়ারি আরাফাত মারা যান।

সাফায়াত জামিলের আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় চারজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। ৫ নম্বর আসামির তালিকায় একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এই মামলায় দুজন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। একজন আসামি মারা গেছেন। আরেকজন পলাতক।

এর আগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তার দুই বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরের (২১) পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিনই চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার অপর আসামি আরাফাত মারা গেছেন। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে।

 

Comment here