নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্না ভগত (২০)। মামার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু জঘন্যতম এক অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করত সে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতেন মুন্না।
সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সৈয়দ রেজাউল হায়দার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। দুই-তিন বছর ধরে তিনি মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। সম্প্রতি এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, মৃত নারীদের ধর্ষণ করা পৃথিবীর জঘন্যতম একটি কাজ। সুস্থ ও স্বাভাবিক কেউ এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে না। গ্রেপ্তার ওই তরুণ মুন্না বিকৃত মানসিকতার। তা না হলে এমন কাজ তার করার কথা নয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করত। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকত।
তিনি আরও জানান, মুন্নাকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। একারণে তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১২৩৬) দায়ের করেছেন।
মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন লাল কুমার বলেন, ‘মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করত। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’
Comment here